
অকার্যকর ২৯ পণ্যের নির্ধারিত দাম
- দেশীয়
- মার্চ ১৮, ২০২৪
দেশের বাজারে চলমান অব্যবস্থাপনা রোধে এবং রোজায় পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই দামে বাজারে পণ্য নেই। ক্রেতার কিনতে হচ্ছে বাড়তি দরে।
এর পাশাপাশি শুক্রবার ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু তদারকি না থাকায় দ্বিতীয় দিনেও খুচরা বাজারে সেই দামে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি সরকার থেকে যেসব নীতিসহায়তা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর সুফলও ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছায়নি। ফলে রোজার বাজারে একধরনের অস্বস্তিতে ভোক্তা।
শুক্রবার পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ২৯টি কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু বাজার ঘুরে ওই দামে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিটি পণ্যই ৫ থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, পণ্যের দাম কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার নজির কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নেই। তাই প্রতিষ্ঠানটিতে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাজার তার নিজ নিয়মে চলে। পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে দাম কম থাকে। আবার সরবরাহে ঘাটতি থাকলে দাম বাড়ে। আমাদের দেখতে হবে জনসংখ্যার তুলনায় পণ্যের চাহিদার পরিসংখ্যান ঠিক আছে কি না। সরবরাহ সেই পরিমাণে হচ্ছে কি না।
তিনি বলেন, দুইদিন আগে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২৯ পণ্যের যৌক্তিক মূল্য বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু তারা কি একবারও বাজারে গিয়ে দেখেছে, সেই দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কি না? শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। সেই দামে বিক্রিতে বাধ্য করতে হবে। প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, আমরা দাম বেঁধে দিইনি, যৌক্তিক দাম কত হওয়া উচিত, তা নির্ধারণ করে দিয়েছি। সে অনুযায়ী সংস্থাগুলো অভিযান চালাবে, ব্যবস্থা নেবে। মাঠ থেকে আসা তথ্য বিশ্লেষণ করেই দাম নির্ধারণ করেছি।