
অল্প বয়সেও হতে পারে পার্কিনসনস
- সমাজ সংস্কৃতি
- ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
পারকিনসন্স হচ্ছে এমন এক শারীরিক অবস্থা যাতে মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়। এটা তখনই হয় যখন মস্তিষ্কের একটি অংশ ঠিকমতো কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং সময়ের সাথে এসব স্নায়ু কোষের মৃত্যু হয়। মানুষের মস্তিষ্কে আছে অগণিত স্নায়ু-কোষ। এসব থেকে তৈরি হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক রাসায়নিক উপাদান – ডোপামিন। হাঁটাচলায় সহায়তা করতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে বার্তা পাঠানোর কাজে এই ডোপামিনকে ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্ক। হাঁটতে, কথা বলতে, লিখতে এমনকি হাসি দিতেও। মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ থেকে ডোপামিন নির্গত হওয়া বন্ধ হয়ে গেলেই পারকিনসন্স রোগের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই ডোপামিনের উৎপাদন যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন সে ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। আর তখনই বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।
ছোটবেলায় মাথায় আঘাত লাগলে তাকে হালকা ভাবে নেবেন না। সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করে নিন। তবে চিন্তা একটাই। তাতে গুরুতর চোট ধরা পড়লেও পার্কিনসনস হবে কি না সে ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যায় না। চিকিৎসক জানিয়েছেন, সিংহভাগ ক্ষেত্রেই এই অসুখ জিনঘটিত
আচমকা কাঁপছে হাত। চায়ের পেয়ালা ধরতে পারছেন না। অথচ মাথার চুল কুচকুচে কালো! পার্কিনসনস (Parkinson’s) শুধুমাত্র বয়স্কদের, এমন ধারণায় দশ গোল দিয়েছে ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেস কলকাতা। সম্প্রতি সেখানে এমন রোগীও এসেছেন যিনি সদ্য আঠাশের গণ্ডিতে। নিউরো রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের অধিকর্তা ডিরেক্টর ডা. সুপর্ণ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিরিশেও হতে পারে পার্কিনসনস। ছোটবেলায় মাথায় আঘাত লাগলে তাকে হালকা ভাবে নেবেন না। সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করে নিন। তবে চিন্তা একটাই। তাতে গুরুতর চোট ধরা পড়লেও পার্কিনসনস হবে কি না সে ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যায় না। চিকিৎসক জানিয়েছেন, সিংহভাগ ক্ষেত্রেই এই অসুখ জিনঘটিত। মাথায় আঘাতও অন্যতম কারণ হতে পারে। জীবন দিয়ে সেই প্রমাণ দিয়েছেন বিশ্ববিখ্যাত বক্সার মহম্মদ আলি। বারবার বক্সিং গ্লাভসের আঘাত যাঁকে ঠেলে দিয়েছিল দুরারোগ্য পার্কিনসনসের দিকে।
ডা. সুপর্ণ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পার্কিনসনস পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যায় না। ঠিক কী কারণে মানুষ পার্কিনসনসে আক্রান্ত হন, তার সদুত্তর চিকিৎসাবিজ্ঞান এখনও পুরোপুরি দিতে পারেনি। ডা. সুপর্ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, একটা বিষয়ে চিকিৎসকরা নিশ্চিত। বংশে এই রোগের ইতিহাস থাকলে, পরের প্রজন্মের মধ্যে পার্কিনসনসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন