
ইউক্রেনের স্বাক্ষর করা শান্তিচুক্তি প্রকাশ্যে আনলেন পুতিন
- আন্তর্জাতিক
- জুন ১৮, ২০২৩
যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে রাজি হলেও শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি থেকে সরে আসেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেসময় রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা এক হয়ে একটি খসড়া শান্তিচুক্তি প্রস্তুত করেছিলেন। কিয়েভ প্রথমে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও দ্রুতই এই চুক্তি অস্বীকার করে এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের পথ বেছে নেয়।
ওই চুক্তিতে কি ছিল তার বিষয়বস্তু এক বছরেরও বেশি সময় পর প্রকাশ্যে এনেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্প্রতি রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ সফরে যান আফ্রিকার চার দেশের সরকার প্রধান। এরমধ্যে ছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সেনেগাল ও জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং মিশরের প্রধানমন্ত্রী।
পুতিন তাদেরকে দেখান যে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথমে নিরপেক্ষ থাকতে অর্থাৎ সামরিক যোগ ন্যাটোতে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পরও স্বেচ্ছাচারী আচরণের মধ্য দিয়ে এ থেকে বেড়িয়ে যায় তারা। ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ের প্রতিবেশী তুরস্কে ওই শান্তিচুক্তি নিয়ে দরকষাকষি হয়েছিল।
পুতিন জানান, চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্তের বিনিময়ে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত ছিল রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা তাতে স্বাক্ষরও করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেন নিজেকে স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষ ঘোষণা করতে রাজি হয়।
এই চুক্তির খসড়া যখন প্রণয়ন করা হয় তখন রাশিয়া কিয়েভের কাছাকাছি নিজের বাহিনী নিয়ে গিয়েছিল। তবে রাশিয়া তখন জানায়, তারা ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনায় উৎসাহিত করতে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। পুতিনের দাবি, ইউক্রেনও তখন শান্তি আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কিয়েভ থেকে সেনা সরিয়ে আনার পরই ইউক্রেনীয় শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে। পুতিন বলেন, কিয়েভ কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতিকে ইতিহাসের ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল। তবে রাশিয়া এখনও শান্তিচুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়নি।