
ইসরায়েলি হামলার শততম দিন : ধ্বংস, মৃত্যু ও ক্ষুধার সঙ্গে লড়ছে গাজা
- অপরাধ
- জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত তথা ইসরায়েলি হামলা শুরুর শততম দিন আজ রবিবার। এই যুদ্ধ এখনই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ ও প্রাণঘাতী সংঘাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শনিবারও ইসরায়েলের হামলা ও রক্তপাত অব্যাহত ছিল। রক্ত ঝরেছে ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত আরেক বড় ভূখণ্ড পশ্চিম তীরেও।
শুক্রবার রাতে গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণ বরাবর লম্বালম্বি এলাকাজুড়ে হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূল করার দাবি করেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অধিকৃত পশ্চিম তীরেও তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যার কথা জানিয়েছে। ওই তিন ব্যক্তি ইসরায়েলি বসতি আদোরাতে অনুপ্রবেশ করেছিল বলে জানানো হয়েছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গতকাল স্থানীয় সময় বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ১৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এতে ৭ অক্টোবর থেকে সেখানে নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৪৩ জনে উঠেছে।
ইসরায়েলের অবিরাম বোমা ও গোলাবর্ষণে ধ্বংস, মৃত্যু আর ক্ষুধার সঙ্গে লড়ছে গাজার মানুষ। দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক বিপর্যয়। এখন পর্যন্ত এই রক্তক্ষয়ী লড়াই অবসানের কোনো আভাস মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির মানচিত্র বিশেষজ্ঞ জেমন ভ্যান ডেন হুয়েক এবং তাঁর সহকর্মী নিউ ইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটির স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে বলেছেন, যুদ্ধে গাজার অর্ধেকের বেশি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অব্যাহত যুদ্ধের কারণে গাজা উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দার সবাই তীব্র ক্ষুধা এবং বিভিন্ন মাত্রার অনাহারের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। উপত্যকার ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
হামলা শুরুর তিন মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে (আইসিজে) মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিতে আইসিজের কাছে বিশেষ জরুরি আবেদন করেছে দেশটি। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আইসিজেতে এই মামলার শুনানিতে মুখোমুখি হন দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েলের আইনজীবীরা।
বিবিসি, এপি, আলজাজিরা