
কলকাতায় পদ্মার ইলিশের চিত্র
- সমাজ সংস্কৃতি
- সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
গত কয়েকদিনে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১৭৪ টন ৭০০ কেজি ইলিশ ঢুকেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দামের তারতম্যের কারণে কলকাতার বাজারে দীঘার ইলিশ হারিয়ে দিচ্ছে পদ্মার ইলিশকে। পদ্মার চকচকে রুপালি ইলিশের দাম যেখানে কেজি প্রতি ১৫০০ থেকে ১৮০০ রুপি, সেখানে এক কেজি দীঘা কিংবা ডায়মন্ড হারবারের ইলিশের দাম কমবেশি হাজার রুপি। মধ্যবিত্ত বাঙালি তাই দীঘার ইলিশের দিকেই ঝুঁকছেন।
বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ নিয়ে যারা মোটা মুনাফার আশা করেছিলেন তাদের মাথায় হাত। বাংলাদেশ থেকে পাইকারি রেটে ৮২০ রুপি কেজি দরে ইলিশ কিনে তাতে যদি দেড় হাজার কিংবা ১৮০০ রুপি দাম না ফেলা যায় তাহলে লাভ থাকে না।
তাই, বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে উদ্দীপনা একটু কম। প্রথম দিকে বাংলাদেশের ইলিশ গত বৃহস্পতিবার কোলকাতায় পৌঁছানো মাত্র যে উৎসাহ-উদ্দীপনার জোয়ার দেখা গিয়েছিল তা অনেকটাই যেন স্তিমিত। পেট্রাপোল সীমান্তে ভারতের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীর কথায়- পূজার মুখে বাংলাদেশী ইলিশের কদর বাড়বে। তখন দীঘা-ডায়ামন্ড হারবারের ইলিশে টান পড়বে। মানুষ ঝুঁকবে বাংলাদেশের ইলিশের দিকে।
কারণ, অষ্টমী নবমীতে সর্ষে ইলিশ, ইলিশ ভাপা, ইলিশ বিরিয়ানি, ইলিশ পাতুরি ছাড়া পূজার ভোজ জমেই না। বেনাপোল সীমান্তের ফিশারিজ কেরেন্টাইন অফিসার মাহাবুব উর রহমান এর বক্তব্যও তাই। তার ধারণা পদ্মা-মেঘনার ইলিশের চাহিদা বাড়বে ক্রমশ। বাংলাদেশের ক্রেতারা একটু বিমর্ষ। ভারতে রপ্তানি শুরু হওয়ার পর ইলিশের দাম স্থানীয় বাজারে চারশো থেকে পাঁচশো টাকা কেজি বেড়েছে।