কোরবানির জন্য সিরাজগঞ্জে প্রস্তুত প্রায় চার লাখ পশু

কোরবানির জন্য সিরাজগঞ্জে প্রস্তুত প্রায় চার লাখ পশু

দরজায় দাড়িয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলায় কোরবানির জন্য খামার ও বাড়িতে মোটাতাজা করা হচ্ছে প্রায় চার লাখ পশু। এর মধ্যে গরু এক লাখ ৭১ হাজার এবং এক লাখ ৫৫ হাজার ছাগল। বাকি পশুগুলোর মধ্যে রয়েছে মহিষ ও ভেড়া। কিছুটা লাভের আশায় খামারিদের পাশাপাশি বাড়িতে পশু পালন করছেন কৃষকরা। জেলার চাহিদার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদা পূরণ করবে এখানকার দুই লক্ষাধিক পশু।

এদিকে, দফায় দফায় বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম। এতে খরচ বাড়ছে। কৃষক ও খামারিরা বলছেন, পশুকে খড়ের পাশাপাশি গমের ভুসি ও বুটের খোসা খাওয়ানো হয়। কিন্তু কয়েক মাসের ব্যবধানে ভুসি ও বুটের খোসার প্রতি বস্তার দাম বেড়েছে ৪০০-৬০০ টাকা। ফলে ন্যায্যমূল্যে পশু বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খামারি ও কৃষকরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ১৭ হাজার ছোট-বড় খামারি ও কৃষক বিভিন্ন জাতের গরু, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া পালন করছেন। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা এক লাখ ৬০ হাজার। এই চাহিদা মিটিয়ে দুই লাখ সারা দেশে যাবে। এসব পশু মোটাতাজাকরণে খামারি ও কৃষকরা যাতে কোনও ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক খাবার ব্যবহার না করেন, সেজন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার পশু কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

এবার কোরবানির জন্য ৪৫টি ষাঁড় প্রস্তুত করেছি উল্লেখ করে সদর উপজেলার কালিয়া কান্দাপাড়ায় তালুকদার ডেইরি ফার্মের ম্যানেজার শফিউর রহমান বলেন, ‘গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে এবার লোকসানে পড়ার আশঙ্কা করছি।’

সদর উপজেলার খামারি সুজন বলেন, ‘এ বছর বিক্রির জন্য ছয়টি ষাঁড় প্রস্তুত করেছি। গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে আছি। গরুগুলোকে যে পরিমাণ খাওয়ানো হচ্ছে, তাতে সঠিক দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে।’

সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের আরাভ অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মাহমুদুল হাসান সিহাব জানান, তাদের খামারে দেশি-বিদেশি মিলে শতাধিক ষাঁড়, মহিষ, ছাগল ও দুম্বা মোটাতাজা করা হচ্ছে। খামারে এক লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকার পশু আছে। যার বেশিরভাগ পশু খামার থেকেই বিক্রি হয়। এ ছাড়া সারা বছরই পশু মোটাতাজা করে বিক্রি করেন তারা।

শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই উপজেলায় গো-খামারের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। খামারিদের গো-খাদ্যের চাহিদা মেটাতে উন্নতমানের ঘাস আবাদ করতে হবে। এতে গো-খাদ্যের খরচ কমে আসবে। পাশাপাশি ঘাস গরুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যেসব খামারি শুধু ভুসি, খৈল ও খড়ের মতো গো-খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল, তাদের গরু পালন করে এবারে লাভবান হওয়া খুব কষ্টসাধ্য হবে।’

আরও পড়তে পারেন

নতুন আরও পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে

নতুন আরও পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কক্সবাজারে নতুন করে আরও প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা…
জুনের প্রথম দিকেই আসছে নতুন নোট

জুনের প্রথম দিকেই আসছে নতুন নোট

ঈদুল আজহার আগেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে নতুন ডিজাইনের টাকার নোট, যা দুই টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা মূল্যমান পর্যন্ত…
পারমিট ছাড়া হজ পালনে কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা সৌদি আরবের

পারমিট ছাড়া হজ পালনে কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা সৌদি আরবের

সৌদি আরব হজ পারমিট সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যারা বৈধ…