
চাল আমদানির ওপর জোর দিচ্ছে সরকার
- পণ্যবাজার
- জানুয়ারি ৮, ২০২৫
সরকার চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চালের মজুত বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রয়োজন হলে যেকোনো উৎস থেকে চাল আমদানি করতে বলা হয়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিশেষ ওএমএস (খোলাবাজারে বিক্রি কার্যক্রম) শুরুর বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে।
একই দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চালের মজুত ও আমদানি পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সরবরাহ চেইনের জটিলতার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। তিনি বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজির কারণে চালের দাম যেন অস্বাভাবিকভাবে না বাড়ে, সে বিষয়টি সরকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ছোলা, ডাল ও খেজুর আমদানি করা হয়েছে। সয়াবিনের দামও কিছুটা সহনীয় হয়ে এসেছে। বাজার মনিটর আরও জোরদার করা হবে। শুধু ভোক্তা সংরক্ষণ আইন দিয়ে হবে না। এদিকে এখন ২০০ টাকার পেঁয়াজ ৪০ টাকায় নেমে এসেছে। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
চাল নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক
চালের মজুত ও আমদানি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা চাল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দামের বড় ব্যবধান দেখা যাচ্ছে। এর প্রকৃত কারণ জেনে সমাধান করা হবে।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকারি খাদ্য মজুত এখন ১২ লাখ টনের ওপরে। চলতি মাসেই মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আসবে। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশ থেকেও জিটুজি ভিত্তিতে চাল সংগ্রহের চেষ্টা চলমান।
আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, টিসিবির মাধ্যমে নিয়মিত স্বল্প আয়ের মানুষকে চাল দেওয়া হচ্ছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে ৫০ হাজার পরিবার। এ ছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম ওএমএস চালু রয়েছে।