
ডিএলএস মেথডে জিতে টিকে থাকল পাকিস্তান
- খেলাধুলা
- নভেম্বর ৫, ২০২৩
শনিবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড চলতি বিশ্বকাপে রাচিনের তৃতীয় সেঞ্চুরি (১০৮) ও চোট কাটিয়ে দলে ফেরা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ৯৫ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ৪০১ রানের সৌধ গড়ে। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম ৬০ রানে তিনটি উইকেট নেন।
পাকিস্তানের জন্য জয়ের লক্ষ্যটা ছিল ৫০ ওভারে ৪০২ রান। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকায় যা একপর্যায়ে নেমে আসে ৪১ ওভারে ৩৪১ রানে। কিন্তু আরেক দফা বৃষ্টি নামায় এই খেলাও হয়নি। তবে বৃষ্টির আগে নিজেদের কাজটা ভালোমতোই এগিয়ে রেখেছিলেন ফখর জামান–বাবর আজমরা। আর এগিয়ে থাকাতেই বৃষ্টি আইনে ২১ রানে ম্যাচ জিতে গেছে পাকিস্তান।
এ জয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আশা বেঁচে রইল পাকিস্তানের। হেরে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের সম্ভাবনাও অবশ্য মিলিয়ে যায়নি। দুই দলেরই ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট। রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকায় নিউজিল্যান্ড চারে, পাকিস্তান পাঁচে। সমান পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান নেমে গেছে ছয়ে।
বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার আগপর্যন্ত পাকিস্তানের সামনে ছিল রেকর্ড রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপে সাড়ে তিন শর বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই, কিন্তু ওভারপ্রতি ৮–এর বেশি রান তুলে ৪০১ পেরিয়ে যেতে হতো বাবরদের। আর সেটি করা না গেলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত আজই।
এমন অসীম চাপের রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই কেইন উইলিয়ামসনের দারুণ ক্যাচের শিকার হন আবদুল্লাহ শফিক। তিনে নামা বাবর আর ফখর জামান প্রথম দিকে দেখেশুনে খেলায় মনোযোগ দেন। তবে রান রেট বেড়ে যেতে থাকায় খুব বেশি ওভার ঝুঁকিবিহীন শট খেলার সুযোগ ছিল না।
পঞ্চম ওভার ট্রেন্ট বোল্টকে চার ও ছয় মেরে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেন ফখর। একই ওভারে চার মেরে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে যোগ দেন বাবরও। এই জুটিই পাকিস্তানের রান অষ্টম ওভারে ৫০ আর ১৫তম ওভারে ১০০–তে নিয়ে যান। ২০তম ওভারের মধ্যে ব্যক্তিগত শতক পূর্ণ করে নেন ফখরও। ৬৩ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে ছয়ই হাঁকান ৯টি।
রান তাড়ায় পাকিস্তান যখন ভালো ছন্দ পেয়ে গেছে, তখনই বৃষ্টি নামে ঝমঝমিয়ে। দুই ঘণ্টা খেলা বন্ধের পর যখন শুরু হয়, পাকিস্তানের সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩৪১ রানের। ফখর–বাবর মিলে ৪ ওভারে ৪০ রান তুলে নেওয়ার পর আবারও বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পাকিস্তানের রান ছিল ২৫.৩ ওভারে ১ উইকেটে ২০০, যা ডিএলএস পদ্ধতি অনুযায়ী নিউজিল্যান্ডের ২১ রান বেশি। ফখর অপরাজিত ৮১ বলে ১২৬ রানে, বাবর ৬৩ বলে ৬৬ রানে।
শেষ পর্যন্ত খেলা আর শুরু না হওয়ায় ২১ রানেই ম্যাচ জিতে যায় পাকিস্তান। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ৪০০ রান তুলেও নিউজিল্যান্ডকে মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়ে। এ নিয়ে সর্বশেষ চার ম্যাচেই হারল কিউইরা।
শনিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাবর আজমদের এই ঐতিহাসিক জয়ে সুবিধা হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। তারা ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে।