থামেনি সহিংসতা, সুদানে খাদ্য ও ওষুধের সংকট

থামেনি সহিংসতা, সুদানে খাদ্য ও ওষুধের সংকট

আফ্রিকার দেশ সুদানে লড়াই চলছে টানা চার দিন ধরে। সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে গত শনিবার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চলা সংঘাতের কারণে সুদানবাসীর জীবনে সংকট নেমে এসেছে। রাজধানী খার্তুমের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সেখানে পান করার জন্য কোনো পানি নেই। নিজের দুই বছর বয়সী সন্তানের জন্য এক বোতল পানি জমিয়ে রেখেছিলেন খার্তুমের নারী দুয়া তারিক। গতকাল তিনি জানান, সকালের দিকে পানি ফুরিয়ে গেছে।

এখন পর্যন্ত সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে শোনা যাচ্ছে, রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় লুটপাট চালাচ্ছে আরএসএফ। খার্তুমের কেন্দ্রে অবস্থিত বিমানবন্দরের চারপাশে কালো ধোঁয়া এবং ব্যাপক গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর পাশেই সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের অবস্থান, যাকে ঘিরে চলছে সংঘাত। অনেক রাস্তায় ট্যাংকের আনাগোনা দেখা গেছে।

বিমানবন্দরের চারপাশে আবাসিক এলাকার বাসিন্দা, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কাছের একটি ক্যান্সার হাসপাতালের রোগীরা সংঘাতের কারণে আটকা পড়েছে। খার্তুমের আল-জারা হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসা নিতে এসেছেন। সোমবার তিনি জানান, পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে এবং খাবার কিংবা ওষুদের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই হাসপাতাল লোকজনে পরিপূর্ণ। কারণ আরএসএফের হামলার কারণে একটি হাসপাতাল থেকে এ হাসপাতালে ভিড় করেছে রোগীরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) জানায়, সরবরাহ সংকটের কারণে সারা দেশের সাতটিরও বেশি অঙ্গরাজ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সুদানে ডাব্লিউএইচওর প্রতিনিধি ডা. নিমা সায়েদ আবিদ বলেন, ‘এখন বেশির ভাগ হাসপাতাল থেকে ওষুধের সরবরাহ, রক্ত, অক্সিজেন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সরঞ্জামের সংকটের খবর পাওয়া যাচ্ছে।’

ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় সুদানে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ভলকার পার্থেস বলেন, তিনি প্রতিদিনই সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফের প্রধান মোহামেদ হামদান দাগালোর সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু এ দুই জেনারেল কেউ কারো সঙ্গে কথা বলছেন না। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১৮৫ জন এবং আহত হয়েছে এক হাজার ৮০০ জনের মতো।

তারিক বলেন, ‘আমরা ঘরের মধ্যে ছোট করিডরে বন্দি হয়ে রয়েছি। শুয়েই সারা দিন কাটাচ্ছি। বেশির ভাগ মানুষ বাড়িতে থাকাকালে অনবরত ছোড়া গুলি ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মারা গেছে। এ জন্য জানালা কিংবা অন্য কোনো উন্মুক্ত বা খোলা জায়গা ছেড়ে মানুষ ঘরে অবস্থান করছে।

সূত্র : বিবিসি

আরও পড়তে পারেন

নতুন আরও পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে

নতুন আরও পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কক্সবাজারে নতুন করে আরও প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা…
জুনের প্রথম দিকেই আসছে নতুন নোট

জুনের প্রথম দিকেই আসছে নতুন নোট

ঈদুল আজহার আগেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে নতুন ডিজাইনের টাকার নোট, যা দুই টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা মূল্যমান পর্যন্ত…
পারমিট ছাড়া হজ পালনে কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা সৌদি আরবের

পারমিট ছাড়া হজ পালনে কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা সৌদি আরবের

সৌদি আরব হজ পারমিট সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যারা বৈধ…