
দু-এক দিনের মধ্যে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম
- দেশীয়
- ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
গত দেড় দশকে পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার ও ভোক্তা পর্যায়ে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই আবারও গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। নতুন দাম কার্যকর হতে পারে আগামী ১ মার্চ থেকে। বিদ্যুৎ বিভাগ শিগগিরই দাম বাড়ানোর ঘোষণার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
গত বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন দফায় ৫ শতাংশ করে ১৫ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমাতে নতুন করে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই তৎপরতা আরো আগে থেকেই শুরু হলেও মাঝে নির্বাচন থাকায় তা থেমে ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে তা জনজীবনে নতুন করে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে বিক্রি করায় লোকসান হচ্ছে। এতে পাইকারি পর্যায়ে কিছুটা সমন্বয় করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ভোক্তা পর্যায়েও কিছুটা সমন্বয় করা হবে। তবে ভোক্তাদের ওপর যাতে খুব বেশি প্রভাব না পড়ে, সেভাবেই দাম সমন্বয় করা হবে।
বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ অনুযায়ী বিভিন্ন স্তরে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হবে। মাসে ২০০ ইউনিটের কম ব্যবহার করলে প্রতি ইউনিটে প্রায় ৩০ পয়সা বাড়বে। মাসে ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীদের, প্রতি ইউনিটে ৭০ থেকে ৮০ পয়সা বেশি দিতে হবে।
আগে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করার একক ক্ষমতা ছিল জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)। সেখানে দাম বৃদ্ধির পক্ষে-বিপক্ষে নানা রকম যুক্তি-তর্ক হতো। ফলে ইচ্ছামতো দাম বৃদ্ধির সুযোগ ছিল তুলনামূলক কম। কিন্তু গত বছর থেকে সরকার নির্বাহী আদেশে দাম বৃদ্ধির জন্য আইন করে। এরপর গণশুনানি ছাড়াই গত বছর গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম তিন দফায় ১৫ শতাংশ এবং গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ ১৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে নেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুরোপুরি ভর্তুকিমুক্ত করতে হবে। সরকারও এ ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।