
নতুন কর্মী নেওয়ার আবেদন স্থগিত করল মালয়েশিয়া
- অর্থনীতি
- মার্চ ১৯, ২০২৩
বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য অন্যমত শ্রম বাজার হলো মালয়েশিয়া। ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ ছিল বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া। দীর্ঘ দেনদরবার ও নানা অনিশ্চয়তার পর ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরপর ২০২২ সালের ২ জুন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানানের নেতৃত্বে ঢাকায় দুই দেশের বৈঠকে কারিগরি বিষয়সহ অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান হয়। শ্রমবাজার খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দুই মন্ত্রী। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ২০২২ সালের ৮ আগস্ট থেকে কর্মী যাওয়া শুরু হয় মালয়েশিয়ায়।
তবে আবারও, নতুন করে বিদেশি কর্মী নেওয়ার সব ধরনের আবেদন ও প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া সরকার। গতকাল শনিবার দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। বাংলাদেশসহ ১৫টি সোর্স কান্ট্রি থেকে নতুন কর্মী নিয়োগের আবেদনের অনুমতি স্থগিত করা হয়েছে। তবে অনুমোদনপ্রাপ্ত ভিসার কর্মীরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন।
বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘ফরেন ওয়ার্কার এমপ্লয়মেন্ট রিলাক্সেশন প্ল্যানে (পিকেপিপিএ) বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন ১৮ মার্চ থেকে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। নিয়োগকর্তারা ৯ লাখ ৯৫ হাজার শ্রমিকের কোটা অনুমোদন দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিয়োগকর্তারা আগের অনুমোদিত কর্মীদের প্রবেশ নিশ্চিত করার পরই স্থগিতাদেশ পর্যালোচনা করা হবে। আমরা ১৪ মার্চ পর্যন্ত নির্মাণ, পরিষেবা, উত্পাদন, কৃষি, খনন, খনি, বৃক্ষরোপণসহ মোটামুটি সব খাতেই ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬ জন শ্রমিককে অনুমোদন দিয়েছি।’ মানবসম্পদমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিদেশি শ্রমিকদের জন্য যে কোটা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ খাতসহ শিল্প-কারখানায় শ্রম চাহিদা মেটানো সম্ভব।’
গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সেক্টর থেকে বিদেশি কর্মীদের জন্য মোট ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬টি কর্মসংস্থান কোটা মন্ত্রণালয় অনুমোদন করার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।