
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পাঁচ পদক্ষেপ
- আন্তর্জাতিক
- এপ্রিল ২৪, ২০২৫
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের এসব পদক্ষেপের বিষয়ে অবহিত করেন।
প্রথমত, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় সিন্ধু, চন্দ্রভাগা, শতদ্রু, ঝিলাম, ইরাবতী ও বিপাশা নদীর পানি পাকিস্তানে প্রবাহিত হতো। চুক্তি স্থগিত হওয়ায় এই নদীগুলোর পানি প্রবাহ আপাতত পাকিস্তানে ব্যাহত হবে।
দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের এই গুরুত্বপূর্ণ স্থলসীমান্ত বন্ধ। ওই সীমান্ত দিয়ে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাদের সবাইকে ১ মের মধ্যে ফিরে যেতে হবে।
তৃতীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনের সব সামরিক উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
চতুর্থ পদক্ষেপ হিসেবে, দুই দেশের হাইকমিশনগুলোর কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পঞ্চমত, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারতে প্রবেশ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সব পাকিস্তানি নাগরিকের সার্ক ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং যারা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকার এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছে। কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বৈসরণ উপত্যকায় এ হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নয়াদিল্লি।