প্রযুক্তি ও পাঠক

প্রযুক্তি ও পাঠক

আমাদের পরিবারে বইপড়া একটা দারুন বিনোদনের ব্যপার ছিলো। আমার বাবা বই পড়তেন বসে বসে। আমার মা বই পড়তেন শুয়ে শুয়ে। বড়ভাই পড়তেন শুয়ে বসে। আর আমি পড়তাম লুকিয়ে লুকিয়ে। স্কুলের পাঠ এবং বাড়ির কাজে ফাঁকি দেওয়ার প্রবনতা থাকায় এবং বয়সে একটু চুনোপুটি সাইজের হওয়ায় বই পড়ার বিষয়ে আমার উপর কিছু বিধিনিষেধ বলবৎ ছিলো, তবে সে জন্য আমার মাথাব্যথা ছিলো না। বিভিন্ন রকম ফন্দিফিকির এঁটে আমি সেইসব বিধিনিষেধ পাশ কাটিয়ে আমার বইপড়া চালিয়ে যেতাম। মনে আছে, নতুন ক্লাশে ওঠার পর যেদিন নতুন বইগুলো হাতে পেতাম, সেই বইগুলো থেকে যে অদ্ভুত মিষ্টি গন্ধটা নাকে লাগতো, সেই সুবাস কখনও ভুলে যাওয়ার মত নয়। এখনও নতুন বই খুললে সেই রকম একটা খুশবু আমাকে স্মৃতিকাতর করে তোলে।

সময় বদলে গেছে। সময়ের সাথে নতুন নতুন সব প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে। বিশেষ করে যোগাযোগ প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি সাধন হয়েছে। সেই ধরায় পরিবারগুলোতে বিনোদনের ধরনও পাল্টেছে। এখন ল্যাপটপটাই আমার সার্বক্ষনিক সঙ্গী। দিনের একটা বড়সময় সেটা আমাকে ব্যস্ত রাখে। আমার স্ত্রী ব্যস্ত থাকে টেলিভিশনের চ্যানেলে। মোবাইলে ফেসবুক আর ইউটিউব আমার পুঁচকে মেয়েটিকে এতই মনোযোগী করে রাখে যে পাশ দিয়ে একটা হাতি চলে গেলেও বোধ হয় সে জানতে পারবে না।

তাই বই পড়া এখনও বিনোদনের একটা কালজয়ী মাধ্যম। এই বিনোদনের প্রতি মানুয়ের আগ্রহ সার্বজনীন। তবে সময়ের সাথে প্রযুক্তির যে উদ্বাবন আর  বিকাশ হয়েছে, তার একটা প্রভাব পড়েছে আমাদের দৈনন্দিন পাঠ্যাভাসে

পাঠ্য বইয়ের বাইরে যে সকল বই আমাদের অবসর সময়ের সঙ্গী হয়ে থাকে, সেগুলো আমাদেরকে জ্ঞান আর কল্পনার রাজ্যে টেনে নিয়ে যায়। অতীত, বর্তমান আর ভবিষৎকে দৃশ্যমান করে তুলে আমাদের মানসমন্ডলে। তাই বই পড়া এখনও বিনোদনের একটা কালজয়ী মাধ্যম। এই বিনোদনের প্রতি মানুয়ের আগ্রহ সার্বজনীন। তবে সময়ের সাথে প্রযুক্তির যে উদ্বাবন আর  বিকাশ হয়েছে, তার একটা প্রভাব পড়েছে আমাদের দৈনন্দিন পাঠ্যাভাসে। এটা অনুধাবন করা কঠিন নয়।

উদ্বাবনী চিন্তা থেকে প্রযুক্তির সৃষ্টি হয়, যার প্রয়োগ মানুয়ের সক্ষমতাকে বহুভাবে বাড়িয়ে দেয়। প্রযুক্তি কিন্তু নিরপেক্ষ। এর প্রয়োগে ভালমন্দ ফলাফল আছে, আবার ঝুঁকিও আছে। প্রযুক্তির ভালমন্দ নির্ভর করে ব্যবহারকারী কি উদ্দেশ্যে সেটা ব্যবহার করছে। এনরিকো ফেরমি এবং তার পূর্ববর্তী বৈজ্ঞানিকদের প্রচেষ্টায় যে পারমানবিক প্রযুক্তি আবিস্কার করা হয়েছিল, সেটা জ্বালানী, কৃষি, চিকিৎসা, যোগাযোগসহ বিভিন্ন কল্যানমুখী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমেরিকা লিটল বয় আর ফ্যাট বয় নামের দুটো আণবিক বোমা বানিয়ে হিরোশিমা আর নাগাসাকি শহরের মাথায় বিস্ফোরন ঘটিয়ে একটা মানবিক এবং পরিবেশগত ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছিল। আনুমানিক ১৩০,০০০ থেকে ২২৬,০০০ সাধারন মানুয়ের মৃত্যু হলেছিল সেই বোমা দুটোর বিস্ফোরণে। এখানে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছে যুদ্ধ আর নিরাপরাধ মানুষ হত্যার প্রয়োজনে। দোষটা কিন্তু একক ভাবে প্রযুক্তির নয়।

একথা নির্বিধায় বলা যায়, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আবিস্কারগুলোর একটি গুটেনবার্গের ছপাপখানা আবিস্কার।  এই উদ্ভাবন মানুষের জ্ঞানকে শুধু সংরক্ষন-ই করে নাই, বিশ্বব্যাপী জ্ঞান বিস্তারের আবহ রচনা করে দিয়েছে। যন্ত্রে ছাপা খবরের কাগজ, বইপত্র সহজলভ্য করেছে, পৌছে দিয়েছে পাঠকের হাতে হাতে, ঘরে ঘরে, দেশে দেশে। ফলে পাঠ্যাভাসের প্রসার হয়েছে, নতুন নতুন পাঠক তৈরী হয়েছে। সময়ের সাথে এই মুদ্রন প্রযুক্তির বিবর্তন ঘটেছে, আধুনিকায়ন হয়েছে। এখন যে ডিজিটাল প্রযুক্তি এসেছে সেটা মুদ্রনব্যবস্থাকে আরো উৎকর্ষতার দিকে নিয়ে গেছে। এই মুদ্রনব্যবস্থায় যে বই, সংবাদপত্র, গবেষণাপত্র ইত্যাদি মুদ্রিত হচ্ছে সেগুলো সবদিক থেকেই উন্নতমানের আর টেকসই।

ইন্টারনেট খুললেই যে জ্ঞানের সংগ্রহশালা সামনে চলে আসে, সেটা পৃথিবীর সব বড় বড় পাঠাগারের চাইতেও অনেক বড়। অনেক সমৃদ্ধ।  ইন্টারনেট প্রযুক্তির রুপকার ভিন্ট সার্ফ আর রবার্ট কান হয়তো কখনও ভাবেননি তাদের উদ্বাবনের মাধ্যমে কি বিশাল তথ্যভান্ডারের দরজা খুলে দিয়ে গেলেন বিশ্ববাসীর সম্মুখে

গত কয়েক দশকে সভ্যতার ইতিহাসে একটা বিপ্লব ঘটিয়েছে যোগাযোগ প্রযুক্তি। মোবাইল প্রযুক্তি দূরকে কাছে টেনে এনেছে, গোটা পৃথিবীটাকে পুরেছে মানুষের হাতের মুঠোয়।  ইন্টারনেট খুললেই যে জ্ঞানের সংগ্রহশালা সামনে চলে আসে, সেটা পৃথিবীর সব বড় বড় পাঠাগারের চাইতেও অনেক বড়। অনেক সমৃদ্ধ।  ইন্টারনেট প্রযুক্তির রুপকার ভিন্ট সার্ফ আর রবার্ট কান হয়তো কখনও ভাবেননি তাদের উদ্বাবনের মাধ্যমে কি বিশাল তথ্যভান্ডারের দরজা খুলে দিয়ে গেলেন বিশ্ববাসীর সম্মুখে। যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য আর জ্ঞানের আহরণ এবং আদান প্রদানের কি এক অভিনব সাঁকো গড়ে দিলেন তারা। তাহলে পাঠ্যাভাসের উপর এই সব প্রযুক্তি কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারছে? এক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে।

কয়েক দশক আগেও, আমাদের দেশের লেখকদের বই ছাপা হতো প্রথম সংস্করনে হাজার কপির মতো। বইয়ের কাটতি দেখে এই সংখ্যা বাড়তো। সেই সময়ে আমাদের লোকসংখ্যা কম ছিলো, প্রকাশনা শিল্পের আয়তন কম ছিলো, তবে সেই তুলনায় পাঠকের সংখ্যা নেহায়েত কম ছিলো বলে মনে হয় না। সময়ের সাথে সাথে, লোকসংখ্যা বেড়েছে, শহরগুলোতে মানুষের ভিড় বেড়েছে, লেখকের সংখ্যা বেড়েছে, প্রকাশনীর সংখ্যা বেড়েছে, লাইব্রেরীর সংখ্যা বেড়েছে , বই মেলার আয়োজন হচ্ছে, তবে সেই তুলনায় পাঠকের  সংখ্যা কতটুকু বেড়েছে? এই প্রশ্নের একটা চটজলদি উত্তর পাওয়া মুশকিল। এই উত্তর মূল্যায়নের জন্য সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়াও  সহজ ব্যাপার নয়।

যারা শুয়ে বসে অথবা সময় নিয়ে বই পড়তে পছন্দ করেন, তাদের বই পড়ার অভ্যাস হয়তো সেরকম-ই আছে। তারা এখনও নতুন বইয়ের সুবাসে পুলকিত হন, প্রিয়জনকে বই উপহার দিয়ে বই পড়ার আনন্দকে ভাগাভাগি করেন, বাজারে নতুন বই এলে হামলে পড়েন। যারা ইন্টারনেট-বিলাসী, তাদের জন্য রয়েছে অন-লাইন পাঠ্যসম্ভার, রয়েছে  ই-বুক সংস্করন, ই-বুক রিডার

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, সময়ের সাথে সাথে পাঠকের সংখ্যা বাড়ছে। পাঠকের চোখ এখন শুধু ছাপানো বইয়ের পাতায় নিবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য মাধ্যমেও। যারা শুয়ে বসে অথবা সময় নিয়ে বই পড়তে পছন্দ করেন, তাদের বই পড়ার অভ্যাস হয়তো সেরকম-ই আছে। তারা এখনও নতুন বইয়ের সুবাসে পুলকিত হন, প্রিয়জনকে বই উপহার দিয়ে বই পড়ার আনন্দকে ভাগাভাগি করেন, বাজারে নতুন বই এলে হামলে পড়েন। যারা ইন্টারনেট-বিলাসী, তাদের জন্য রয়েছে অন-লাইন পাঠ্যসম্ভার, রয়েছে  ই-বুক সংস্করন, ই-বুক রিডার। সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের এক অফুরন্ত সংগ্রহশালা এটি। যার যার পছন্দের বইটা বেছে নিয়ে পড়তে বসে যাও। তথ্য উপাত্তের বিশ্লেষনে দেখা যাচ্ছে এই মাধ্যমে পাঠকের আগ্রহ এবং উপস্থিতি দুটোই ধারাবাহিক বৃদ্ধির দিকে।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের সংখ্যা ১৮১.৪৩ মিলিয়নে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন। ২০২৫ সাল নাগাদ এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ধরে নেওয়া যায়, এই প্রক্রিয়ায় আরো অনেক নতুন পাঠক এই মাধ্যমগুলোর সাথে যুক্ত হবে, এবং সামগ্রিকভাবে পাঠকের সংখ্যাও বাড়বে। সুতরাং, ছাপানো বই ছাড়াও মানুষ এখন প্রযুক্তির অন্যান্য মাধ্যম থেকেও পাঠের আনন্দ লাভের সুযোগ পাচ্ছে।

পাঠক সৃষ্টির জন্য কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। গড়প্রতি আমাদের একজন পাঠক বছরে ক’টা বই পড়েন, কি কি ধরনের বই পড়েন, কোন বয়সের পাঠক কোন বিষয়টি পছন্দ করেন, বই পড়ার জন্য কোন মাধ্যমটি তার অধিক পছন্দের-  এই রকম তথ্য-উপাত্ত অথবা পরিসংখ্যান বিশ্লেষন করে একটা সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

দেশে ছাপানো বই এর পাঠকের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে তেমন বাড়ছে বলে মনে হয় না। এই শ্রেণীর পাঠকের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। এই জায়গাটায় আমাদের কিছু করনীয় আছে। পাঠক সৃষ্টির জন্য কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। গড়প্রতি আমাদের একজন পাঠক বছরে ক’টা বই পড়েন, কি কি ধরনের বই পড়েন, কোন বয়সের পাঠক কোন বিষয়টি পছন্দ করেন, বই পড়ার জন্য কোন মাধ্যমটি তার অধিক পছন্দের-  এই রকম তথ্য-উপাত্ত অথবা পরিসংখ্যান বিশ্লেষন করে একটা সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। বইয়ের পাঠক সৃষ্টি, প্রকাশনা এবং বিপণনের ক্ষেত্রে এই সব তথ্যউপাত্ত কার্যকরী সহায়কের ভূমিকা পালন করতে পারে। সময় মত, চাহিদা মত মনের খাবারটি পেলে বই পড়ার দিকে পাঠকের আগ্রহ তো বাড়ারই কথা।

বই মানুষের চিন্তা, কল্পনা আর জ্ঞানকে অক্ষরবন্দী করে রাখে। সেই জ্ঞান আর কল্পনার কথা অনুদিত হয় বিভিন্ন ভাষায়। সেই সব বই তৈরী করে নতুন নতুন পাঠক। পাঠক সমাজে অঙ্কুরিত হয় নতুন আগ্রহ, নতুন চাহিদা। আমাদের সাহিত্যকর্ম এখনও বিদেশী ভাষায় তেমনভাবে অনুদিত হয় নাই। ফলে আমরা আমাদের শিল্প, সাহিত্য, গবেষনা, দর্শণ বিশ্বের বৃহত্তর পাঠক সমাজের হাতে পৌঁছে দিতে পারি নাই। সেই অর্থে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেভাবে আমাদের পাঠক তৈরী হয়নি। এখানে একটা শূন্যতা রয়ে গেছে। তবে এর পাশাপাশি, বিশ্বায়নের অগ্রযাত্রায় আমাদের সাহিত্যকর্মের  বিশ্বপরিচিতির জন্য সম্ভাবনার দরজাও খোলা রয়ে গেছে।

বইয়ের একটা সার্বজনীন আবেদন আছে। বিশ্বায়নের এই ক্রান্তিকালে আমাদের পাঠ্যসম্ভারকে অন্যান্য পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার এটাই সময়।বই পড়ার পাঠক সৃষ্টির জন্য আমাদের সামাজিক এবং প্রতিষ্ঠানিকভাবে সক্রিয় হওয়া বাঞ্চনীয়। বই পড়াকে উৎসাহিত করার উপায় এবং সম্ভবনা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। স্থানীয় মহল্লা, স্কুল, কলেজ এবং সংগঠনগুলোতে সলিডারিটি গ্রুপের আদলে ক্ষুদ্র আকারে ‘বুক ক্লাব’  সংগঠন করা যেতে পারে যেখানে সদস্যরা অল্প খরচে বই কিনতে পারবে, বই পড়তে পারবে এবং ব্যক্তিগত ভাবে বইয়ের সংগ্রহশালা গড়ে তুলতে পারবে। এর শুরুটা হওয়া উচিত তৃণমূল পর্যায় থেকে যেখানে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থাগুলো সংগঠকের সহায়তা দিতে সক্ষম হবে।

আসল কথা হল, বই পড়া একটি প্রাচীন বিনোদনের মাধ্যম। এর প্রতি মানুষের আগ্রহ এবং নেশা দুটোই আছে। প্রযুক্তির উদ্ভাবনের সাথে, সময়ের সাথে, এই অভ্যাস সহজে বদলাবার নয়। বইয়ের প্রতি মানুষের এই আগ্রহ, এই নেশা সব সময় একই ভাবে রয়ে যাবে।

আরও পড়তে পারেন

নতুন আরও পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে

নতুন আরও পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কক্সবাজারে নতুন করে আরও প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা…
জুনের প্রথম দিকেই আসছে নতুন নোট

জুনের প্রথম দিকেই আসছে নতুন নোট

ঈদুল আজহার আগেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে নতুন ডিজাইনের টাকার নোট, যা দুই টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার টাকা মূল্যমান পর্যন্ত…
পারমিট ছাড়া হজ পালনে কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা সৌদি আরবের

পারমিট ছাড়া হজ পালনে কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা সৌদি আরবের

সৌদি আরব হজ পারমিট সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যারা বৈধ…