
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য তহবিল ছাড়ের ঘোষণা সুইডেন-কানাডার
- আন্তর্জাতিক
- মার্চ ১০, ২০২৪
গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৩০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেসামরিক লোকজনদের কাছে পৌঁছানো সহায়তার পরিমাণ অনেক কমে গেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, গাজা উপত্যকার জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে, অনাহারে মারা যাচ্ছে অনেক শিশু। এমন অমানবিক অবস্থার মধ্যে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থায় (ইউএনআরডব্লিউএ) আবারও তহবিল ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে সুইডেন-কানাডা।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। ইসরায়েলের অভিযোগ, ইউএনআরডব্লিউএর অন্তত ১২ জন সদস্য ওই হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। ফলে বিশ্বের ১৬টি দেশ সংস্থাটিতে তহবিল দেওয়া স্থগিত করে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতিসংঘ বিষয়টির তদন্ত করছে। খবর বিবিসির
গতকাল শনিবার সুইডেন বলেছে, প্রাথমিকভাবে তারা ২০০ মিলিয়ন ক্রোনার অর্থসহায়তা দেবে। যদি ইউএনআরডব্লিউএ ব্যয় এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তাহলে আরও অর্থ ছাড় দেওয়া হবে। এক বিবৃতিতে দেশটি বলছে, ২০২৪ সালের জন্য সরকার ৪০০ মিলিয়ন ক্রোনার বরাদ্দ করেছে। এবার ২০০ মিলিয়ন দেওয়া হবে।
গাজায় ইউএনআরডব্লিউএর প্রায় ১৩ হাজার কর্মী কাজ করছেন। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, আমরা আশাবাদী, এক সপ্তাহের মধ্যে ইউএনআরডব্লিউএতে দাতা দেশগুলো আবার অর্থায়ন শুরু করবে। তিনি বলেন, অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে ইতোমধ্যে কয়েকজন সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় কমিশন ৫০ মিলিয়ন ইউরো ছাড়ের কথা জানায়। সংস্থাটির ২০২২ সালের তথ্য বলছে, সর্বোচ্চ চার দাতা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সুইডেন। কানাডা ১১ সর্বোচ্চ দেশগুলোর মধ্যে একটি।
গত শুক্রবার কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেন এক বিবৃতিতে অর্থ ছাড়ের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের বেসামরিক নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে সাড়া দিতে আরও সহায়তা প্রয়োজন। চলমান শক্তিশালী তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বীকৃতি হিসেবে এ ছাড় দেওয়া হলো। তদন্তের পর আরও দেওয়া হবে।