
বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলার পাবে দরিদ্র দেশগুলো
- পরিবেশ
- নভেম্বর ২৪, ২০২৪
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন (৩০ হাজার কোটি) ডলার অর্থায়ন করবে উন্নত দেশগুলো। এই অর্থায়ন ২০৩৫ সাল পর্যন্ত চালু থাকবে। আজ (রোববার) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন (কনফারেন্স অব পার্টিজ, কপ২৯)-এ প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা এই চুক্তিতে সম্মত হন।
কপ২৯-এর অধিবেশন শুরু হয় ১১ নভেম্বর, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার। তবে জলবায়ু তহবিলের অর্থায়ন নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে আলোচনার সময়সীমা একদিন বাড়ানো হয়। অবশেষে বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে দীর্ঘ আলোচনার পর এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়।
তবে শেষ পর্যায়ে এসে চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ধনী দেশগুলো পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দে ব্যর্থ হচ্ছে—এ অভিযোগ তুলে গতকাল শনিবার রাতে সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জোট। পরে আলোচনায় ফিরে আসার পরিপ্রেক্ষিতে সমঝোতা হয়।
চূড়ান্ত চুক্তি অনুযায়ী, দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করা এবং জলবায়ু সংকটের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তার জন্য প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। বর্তমানে এই তহবিলে ধনী দেশগুলো বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদান করে। তবে দরিদ্র দেশগুলোর দাবি ছিল, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৩০ হাজার কোটি) ডলার প্রয়োজন। যদিও শেষ পর্যন্ত ৩০০ বিলিয়ন ডলারে চুক্তি হয়।
এই বরাদ্দকে অনেকেই অপর্যাপ্ত বলে মনে করছেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার শিফট আফ্রিকার পরিচালক মোহামেদ আদোউ মন্তব্য করেছেন, “এই চুক্তি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য হতাশাজনক। ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।” অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি ওপকে হোয়েকস্ট্রা বলেছেন, “কপ২৯ জলবায়ু অর্থায়নের নতুন যুগের সূচনা করেছে, যা বিশ্ব ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোতে প্যারিস চুক্তির বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় ফিরে আসায় উন্নত দেশগুলো বড় অঙ্কের অর্থায়নে বাধা দিচ্ছে। তবুও দীর্ঘ আলোচনা শেষে চুক্তি হওয়ায় একে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।