বিনা ওষুধেই নিয়ন্ত্রনে থাকবে কোলেস্টেরল

কোলেস্টেরল একটি মোমের মতো পদার্থ, যা আমাদের শরীরের রক্তের ধমনীতে পাওয়া যায়। এই কোলেস্টেরল আমরা যে খাবারই খাই তা থেকেই তৈরি হয়। এর গঠনে কোনো ক্ষতি নেই, তবে যখন হাই কোলেস্টেরল তৈরি হতে শুরু করে, তখন শিরায় রক্ত ​​এবং অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, যেটা আপনার জন্য বিপজ্জনক। অবিলম্বে এর চিকিৎসা শুরু করা না হলে হার্ট অ্যাটাক হতে সময় লাগে না।  চিকিৎসায় অবহেলা করলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

আপনি যদি কোনো চিকিৎসা ছাড়াই আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চান, তাহলে আজ আমরা ৫টি আয়ুর্বেদিক প্রতিকার জানাব। এই ব্যবস্থাগুলি ব্যবহার করে, আপনি  কোলেস্টেরলের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন। আসুন জানি সেই ব্যবস্থাগুলো কী কী।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে আপনার খাদ্যতালিকায় সজনে, রসুন, পেঁয়াজ, স্যুপ এবং কারি পাতা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শিরায় কোলেস্টেরল জমতে না দেওয়ার জন্য সবজি সবসময় সর্ষের তেলে বা তিলের তেলে ভাজতে হবে।

আমলা ও আদার রস উপকারী

রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরল  বেড়ে গেলে শিরায় ব্লকেজ হতে পারে। যার কারণে আপনার হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে। এটি এড়াতে, আপনি আদা এবং আমলকির জুস ব্যবহার করতে পারেন। ১০ মিলি আমলকির রস এবং ৫.৫ মিলি আদার রস মিশিয়ে এটি তৈরি করুন। তারপর প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এটি খাওয়া শুরু করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি সুফল দেখতে শুরু করবেন।

যোগব্যায়াম

হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা মোকাবেলা করতে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে বাঁচান ।  এর জন্য প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট যোগব্যায়াম করুন। যোগাসন করলে মানসিক চাপ কমে, যার ফলে কোলেস্টেরলও আপনাআপনি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

প্রতিদিন আধা ঘণ্টা জগিং করুন

কোলেস্টেরল এড়াতে, প্রতিদিন শারীরিক কার্যকলাপ করা প্রয়োজন।   আমরা যখন কোনো শারীরিক পরিশ্রম করি না, তখন ঘামের মাধ্যমে টক্সিন শরীর থেকে বের হয় না। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট জগিং বা আধা ঘন্টা দ্রুত হাঁটার অভ্যাস করুন।

রাতে ভারী ডিনার এড়িয়ে চলুন

যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে , তাদের ভারী খাবারের পরিবর্তে হালকা  এবং হজমযোগ্য খাবার খাওয়া উচিত। রাতে ভারী ডিনার এড়িয়ে চলুন এবং ক্ষুধার্ত হলেই খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও অসময়ে খাওয়া পরিহার করুন এবং খাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।