
বিভিন্ন দেশের কারাগারে আটক ৯ হাজার ৩৭০ বাংলাদেশী: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দেশীয়
- ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারাগারে ৯ হাজার ৩৭০ বাংলাদেশী আটক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বহির্বিশ্বের কারাগারে আটককৃতদের বিষয়ে মিশনগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পর্তুগালে ১ জন, মিসরে ৬, ইতালিতে ৮১, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫, কোরিয়ায় ৬, শ্রীলংকায় ৩, কাতারে ৪১৫, লিবিয়ায় ৯, স্পেনে ১৯, হংকংয়ে ১২২, সিঙ্গাপুরে ৬৬, ব্রুনাইয়ে ১৬, চীনের বেইজিংয়ে ১৮৪, চীনের কুনমিংয়ে ৭, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ৪০৪, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৯, সৌদি আরবে ৫ হাজার ৭৪৬, মালয়েশিয়ায় ২১৯, আলজেরিয়ায় ১, থাইল্যান্ডে ৪, লেবাননে ২৮, গ্রিসে ৪১৪, ইরাকে ২১৭, তুরস্কে ৫০৮, মিয়ানমারে ৩৫৮, জাপানে ২ ও জর্ডানে ১০০ জন আটক রয়েছে।’
বিদেশের কারাগারে আটক প্রবাসীদের মুক্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের জুলাই থেকে চলতি মাস পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২২৬ জন আটক বাংলাদেশীকে লিবিয়া থেকে, ৫১ জনকে ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের কারাগার থেকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এছাড়া ভারত, মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের জেলখানা থেকে আরো ১ হাজার ৯৫০ বাংলাদেশীকে ফেরত আনা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে কারাগারে আটক বাংলাদেশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের দ্রুত মুক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করেন।’
তিনি জানান, জেলখানায় আটক প্রবাসী কর্মীরা বিচারাধীন থাকলে দূতাবাসের একজন প্রতিনিধি আদালতে উপস্থিত থেকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা করেন। কারাগারে আটক শ্রমিক বা প্রবাসী কর্মীদের বিশেষ ও সাধারণ ক্ষমার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়। আটককৃতদের সাজার মেয়াদ শেষ হলে তাদের অতি দ্রুত দেশে পাঠাতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের দণ্ড মওকুফের জন্য দূতাবাসগুলো বাদীদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে।