বেইজিং পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। আজ রোববার তিনি বেইজিংয়ে অবতরণ করেন বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক হিসেবে চীন সফরে গেলেন ব্লিঙ্কেন। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের বরফ গলতে পারে। একই সঙ্গে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বিরোধের অবসানের পথ তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘উন্মুক্ত যোগাযোগের মাধ্যমে ভুল-বোঝাবুঝি ও ভুল ধারণা এড়ানোই তাঁর চীন সফরের উদ্দেশ্য। তিনি বলেছেন, ‘তীব্র প্রতিযোগিতার জন্য টেকসই কূটনীতি প্রয়োজন, যাতে প্রতিযোগিতা সংঘাত বা দ্বন্দ্বের দিকে না যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কাছে এটাই প্রত্যাশা করে বিশ্ব।’ ব্লিনকেন আরো বলেন, ‘মার্কিন স্বার্থ ও মূল্যবোধের বিষয়গুলো স্পষ্ট করা তাঁর সফরের আরেকটি লক্ষ্য। এ ছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা, মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সমস্যাসহ সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করাও এর উদ্দেশ্য।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে একটি সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুন মার্কিন আকাশে উড়ে যাওয়ার পর সেই সময় বেইজিং সফর স্থগিত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ব্লিঙ্কেন হলেন চীন সফরকারী সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা।

খবরে বলা হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত চীনে অবস্থান করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং, চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই এবং সম্ভবত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে সংঘাতে পরিণত না হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য উন্মুক্ত এবং টেকসই যোগাযোগের পথ তৈরি করতেই ব্লিঙ্কেনের এই সফর।

রয়টার্স জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেনের এই সফর আগামী মাসগুলোতে আরও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামীতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডোর সম্ভাব্য সফর অনুষ্ঠিত হতে পারে। তা ছাড়া বছরের শেষের দিকে বহুপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যেও বৈঠক হতে পারে।

এর আগে শনিবার বাইডেন বলেছিলেন, তিনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করার আশা করছেন।