ভবনের গ্যাস লাইন পর্যবেক্ষণে করতে হবে কমিটি

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের ভবন-স্থাপনার পয়োনিষ্কাশন ও গ্যাসলাইন পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সমন্বয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সাত সদস্যের একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাসের পরিচালক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজাওয়ার।

রাজধানী সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার একটি তিনতলা ভবন ও সিদ্দিকবাজারের সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ১২ মার্চ রিটটি করা হয়।

ঢাকা সিটিতে অবস্থিত ভবন-স্থাপনাগুলো নিয়মিত তদারকি ও বসবাসকারী মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা শহরে বসবাসকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ১৬ মের মধ্যে বিবাদীদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, বিদ্যুৎ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাস ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শুনানিতে এইচআরপিবির পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সায়েন্স ল্যাব ও সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণের প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের অবহেলা। ঢাকা শহরে হাজার হাজার স্থাপনা বা ভবন রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পয়োনিষ্কাশন ও গ্যাসলাইন বিদ্যমান রয়েছে। এসবের তদারকি এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সক্রিয় নয়। তাদের এ নিষ্ক্রিয়তা হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। জনগণের জীবন বাঁচাতে এসব পয়োনিষ্কাশন ও গ্যাসলাইন দ্রুত তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।’