
ভারতীয় চার প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
- শিল্প বানিজ্য
- ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা ইরানের পেট্রলজাত পণ্য বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দেওয়া হয়েছে। সোমবার মার্কিন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও বিদেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্লুক্স মেরিটাইম এলএলপি, বিএসএম মেরিন এলএলপি, অস্টিনশিপ ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং কসমস লাইনস ইনকরপোরেশন।
এদের মধ্যে কসমস লাইনস ইনকরপোরেশনকে সরাসরি ইরানের পেট্রলজাত পণ্য পরিবহনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। অন্যদিকে, ফ্লুক্স মেরিটাইম, বিএসএম মেরিন এবং অস্টিনশিপ ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইরানের জ্বালানি তেল ও পেট্রলজাত পণ্য পরিবহনকারী বিভিন্ন নৌযানের বাণিজ্যিক বা কারিগরি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, নিজেদের জ্বালানি তেলের বিক্রি বাড়ানো এবং অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে নৌযান, পরিবহনকারী এবং মধ্যস্থতাকারীদের একটি গোপন নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে যাচ্ছে ইরান।
স্কট বেসেন্ট আরও বলেন, ইরানের জ্বালানি তেল সরবরাহব্যবস্থার সব ক্ষেত্রকে লক্ষ্যবস্তু করতে নিজেদের সব সরঞ্জাম কাজে লাগাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর যারা ইরানের তেল নিয়ে কাজ করবে, তারাও নিষেধাজ্ঞার উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে। কারণ, তেহরানের ওপর বড় পরিসরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অনেক দেশ ও প্রতিষ্ঠান সরাসরি ইরানের তেল কেনে না।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞার পরও ইরানের জ্বালানি তেল–বাণিজ্য চলছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইরানের তেল পরিবহনকারী ট্যাংকারগুলো বন্দর এলাকার বাইরে নিষেধাজ্ঞার আওতায় না থাকা নৌযানে তেল সরবরাহ করছে। পরে ওই তেল বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ইরানের সামরিক বাহিনী এবং তাদের সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর পেছনে এ তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করছে তেহরান।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস