
ভারতে দেড় মাসে একটিও আবেদন পড়েনি CAA-তে
- আন্তর্জাতিক
- এপ্রিল ২৫, ২০২৪
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আদৌ এই আইন তাদের ভোটবাক্স ভরাতে সাহায্য করবে কিনা দেড় মাস পর ধন্ধে বিজেপি নেতৃত্ব। নির্বাচনের মুখে সিএএ জারি হলেও দেড় মাস পরে দেশটির কোনও প্রান্ত থেকে একটিও আবেদন জমা পড়েনি বলে জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়।
সম্প্রতি এক আরটিআই কর্মী তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চান এখনও পর্যন্ত ভারতের কতজন নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছে? উত্তরে সোমবার মন্ত্রনালয়ের তরফে জানান হয়, এখনও পর্যন্ত একজনও আবেদন করেননি। ফলে প্রথম দফার নির্বাচনের পর এই তথ্য সামনে আশায় হতাশ বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব।
মার্চের ১১ তারিখ সিএএ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই উল্লাসে মাতে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুর ভোটবাক্সে ব্যাপক প্রভাব পরবে বলে মনে করে বিজেপি নেতৃত্ব। বারবারই গেরুয়া নেতারা প্রচার করে যে এই আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। পাল্টা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে সিএএ কার্যকর করতে দেবেন না। প্রচারে বারবারই তিনি বলেন, “এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি নাগরিকত্ব হারাবেন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিতেই যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সমর্থন জানাচ্ছে তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের দেওয়া তথ্য থেকেই স্পষ্ট। সম্প্রতি এক আরটিআই কর্মী মন্ত্রনালয়ের কাছে জানতে চান, অনলাইন পোর্টাল মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত কতজন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছে। যদি করে থাকেন তাহলে তারা কি নাগরিকত্ব পেয়েছেন। জবাবে মন্ত্রনালয়ের তরফে ২৩ এপ্রিল জানান হয়, এখনও পর্যন্ত দেশের কোনও রাজ্য থেকেই একজনও আবেদন করেননি।
এমন তথ্য সামনে আসতেই হতাশ গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব। কারণ এই আইন জারি হওয়ার পর তারা যে আশা করেছিলেন ভারতের মানুষ সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন দলটির একাংশ। এইভাবে চলতে থাকলে বিজেপি ও সরকারের মুখ পুড়বে বলে মনে করছেন তারা। কারণ এই আইন নিয়ে ঢালাও প্রচার চালাচ্ছে বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। এমনকী প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সরব হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের আবেদনেও সাড়া মেলেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নাগরিকত্ব আইন গেরুয়া শিবিরের কাছে হিতে বিপরীত হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তির পাশেই থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে তথ্য জানার অধিকার আইনের জবাব। মানুষ আবেদন জানাতে ভয় পাচ্ছেন। পাছে নাগরিকত্ব চলে যায়।
সংবাদ প্রতিদিন