
যুক্তরাজ্যে নতুন বাণিজ্য সুবিধা পেল বাংলাদেশসহ ৬৫টি দেশ
- শিল্প বানিজ্য
- জুন ২০, ২০২৩
বাণিজ্যের প্রসার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে তরান্বিত করতে ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) নামের নতুন বাণিজ্য সুবিধা কার্যকর করেছে যুক্তরাজ্য। এর আওতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশ কম দামে ও শুল্কমুক্তভাবে পণ্য রফতানির সুবিধা পাবে। ১৯ জুন এক বিবৃততি এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকার যুক্তরাজ্য হাইকমিশন।
বিবৃতি অনুযায়ী, ডিসিটিএস বিশ্বের অন্যতম উদার বাণিজ্য সুবিধা দেবে। এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত মর্যাদা না হারিয়েই বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের কাঁচামাল ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। এই স্কিমের আওতায়, অস্ত্র ছাড়া অন্য সব পণ্যে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা অব্যাহত থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। ডিসিটিএসে আনা পরিবর্তনের সুবাদে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরেও বাংলাদেশ তৈরি পোশাকসহ ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্তভাবে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করতে পারবে। যুক্তরাজ্য আগে ইইউ জিএসপি নীতি অনুসরণ করতো। এখন নতুন ব্যবস্থাটি চালু হবে যা জিএসপির চেয়েও উদার।
ঢাকা যুক্তরাজ্য হাইকমিশন জানিয়েছে, ডিসিটিএস স্কিমটি বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশুগুলোকে সমন্বিত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার তৈরি করবে। এছাড়া সরবরাহ চেইনকেও শক্তিশালী করবে। ডিসিটিএস শুল্কমুক্ত মর্যাদা না হারিয়ে অন্যান্য দেশের উপাদান ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদনকে সহজ করছে। নতুন স্কিমের আওতায়, বাংলাদেশ বৈশ্বিক ভ্যালু চেইনে অংশগ্রহণে সক্ষম হবে। যার মাধ্যমে ৯৫টি দেশের কাঁচামাল ব্যবহার করে চূড়ান্ত পণ্য শুল্কমুক্তভাবে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এজন্য নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।
যুক্তরাজ্য হাইকমিশন জানিয়েছে, ডিসিটিএস অবাধ ও ন্যায্য বাণিজ্য, মানবাধিকার এবং সুশাসনকে উৎসাহিত করে। ডিসিটিএস’র অগ্রাধিকারগুলো ধরে রাখার ভিত্তি হলো মানব ও শ্রম অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার, দুর্নীতিবিরোধী, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশসহ প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক কনভেনশনগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া।
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, ডিসিটিএস বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতাকে সমর্থন করবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সহনশীলতা বাড়ানোসহ বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে প্রবেশাধিকারের অনুমোদন দেবে। ভোক্তাদের জন্য বিকল্প এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের মাধ্যমে ডিসিটিএস যুক্তরাজ্যকেও উপকৃত করবে।