
যুক্তরাষ্ট্রের উপকূল থেকে তেল-গ্যাস উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা
- আন্তর্জাতিক
- জানুয়ারি ৭, ২০২৫
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ উপকূল থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বাইডেন এই পদক্ষেপ নিলেন। আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে গ্যাসের দাম কমানোর লক্ষ্যে দেশীয়ভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনে জোর দেবেন। তবে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তেল ও গ্যাস উত্তোলনের যে সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই সেই সীমা অতিক্রম করেছে।
বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং উত্তোলন করার শর্ত রয়েছে। এই শর্ত অনুযায়ী, বিশ্বে মজুদ তেলের ৬০ শতাংশ এবং কয়লার ৯০ শতাংশ উত্তোলন না করার প্রয়োজন।
বাইডেনের নিষেধাজ্ঞার ফলে আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের পুরো উপকূল, মেক্সিকো উপসাগরের পূর্ব উপকূল, প্রশান্ত মহাসাগরের ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন এবং ওয়াশিংটন উপকূল এবং আলাস্কার বেরিং সাগরের নির্দিষ্ট অংশ থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন শেষ মুহূর্তে এসে জলবায়ুসংক্রান্ত যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন, এই নিষেধাজ্ঞা তার সর্বশেষ উদাহরণ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তা নেবেন না, এমন আশঙ্কা থেকেই শেষ মুহূর্তে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ উপকূলে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এসব উপকূল থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলন করা হলে আমাদের প্রিয় স্থানগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানির চাহিদা পূরণের জন্য এর প্রয়োজনও নেই।’