যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান বিলাস

পুরো বিশ্ব যখন মূল্যস্ফীতি খাদ্য শংকট, দুর্ভিক্ষের মত বৈরী শব্দগুলোর সাথে লড়াই করছে তখনই উপহাসের মত সামনে এসেছে  যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন বোমারু বিমান। ‘বি–২১ রাইডার’নামের বিমানগুলো রাডার ফাঁকি দিতে এবং পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। ছাড়াও পাইলটবিহীন  অবস্থায়  সেগুলোকে আকাশে ওড়ানো যাবে।

এর সক্ষমতার কাছে দূরপাল্লার অন্য কোনো বোমারু বিমান আসতে পারবে না। আর সবচেয়ে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও এই বিমানটিকে শনাক্ত করতে হিমশিম খাবে

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় সময় শুক্রবার আমেরিকান অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘নর্থরোপ গ্রুম্যান’–এর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সামনে আনা হয় বি-২১ রাইডার বিমানটি। আগামী বছর এ বিমানের প্রথম ফ্লাইটের উড্ডয়ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বি-২১ রাইডারের সক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, এর সক্ষমতার কাছে দূরপাল্লার অন্য কোনো বোমারু বিমান আসতে পারবে না। আর সবচেয়ে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও এই বিমানটিকে শনাক্ত করতে হিমশিম খাবে।

অন্যদিকে নর্থরোপ গ্রুম্যানের এক মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী অন্তত ১০০টি বি–২১ রাইডার কেনার পরিকল্পনা করছে। প্রতিটি বিমানের দাম ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ডলার।

এমন সময় যুক্তরাষ্ট্র বিমানটি সামনে আনল, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ ও তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। গত বুধবারই পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে আট ঘণ্টা ধরে যৌথ মহড়া দিয়েছে এ দুই দেশের কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো।

আর রাশিয়া ও চীন বর্তমানে চালকবিহীন বোমারু বিমান উন্নয়নেও কাজ করছে। চীনের জিয়ান এইচ–২০ ও রাশিয়ার টুপলভ পিএকে ডিএ স্টেলথ বোমারু বিমান ভবিষ্যতে বি–২১ রাইডারের সঙ্গে পাল্লা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

খবর: আল–জাজিরা