রিশাদ-ঝড়ের পরেও ২৮ রানে হেরে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ

২৯ বছর বয়সী লঙ্কান পেসার নুয়ান তুষারা—বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা এ নামটি নিশ্চয়ই মনে রাখতে চাইবেন না। তুষারা মানেই ফুল লেংথ ও লেট আউটসুইং। তুষারা মানেই ইয়র্কার। তুষারা মানেই ভাঙা স্টাম্পের নাচন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে টস জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সর্বশেষ গতকাল সিলেটে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথম দুই ম্যাচ দুই দল জেতায় আজকের ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। কিন্তু লঙ্কানদের করা ৭ উইকেটে ১৭৪ রানে আটকানোর পর রান তাড়ায় যা হলো তা এককথায় অবিশ্বাস্য।

জিতলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত এমন ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা চরম ব্যর্থ হলেন। তবে ব্যাট হাতে রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদরা চেষ্টা করেন। যদিও সেটা যথেষ্ট হয়নি। ২৮ রানে হেরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খোয়ালো টাইগাররা।

আগের ম্যাচে অপরাজিত ফিফটি করে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ম্যাচে সেই শান্ত ফিরলেন মাত্র ১ রানে। অধিনায়ক ফেরার পরের বলেই ফিরলেন তাওহীদ হৃদয়। ঠিক তার পরের বলেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নুয়ান থুসারা। ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।

হারের ব্যবধানটা কমে ২৮ রানের হওয়ায় ধন্যবাদ পাবেন রিশাদ হোসেন। আটে নেমে তিনি খেললেন ৩০ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। বাংলাদেশকে ১০০-এর নিচে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা করেছে তাঁর সেই ইনিংস। এই জয়ে লঙ্কানরা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল ২-১ ব্যবধানে।

এই ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে শ্রীলঙ্কা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তাঁর সঙ্গে দলে এসেছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও নুয়ান তুশারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৭৪/৭ (মেন্ডিস ৮৬, শানাকা ১৯, হাসারাঙ্গা ১৫, কামিন্দু ১২; তাসকিন ২/২৫, রিশাদ ২/৩৫, শরীফুল ১/২৮)।

বাংলাদেশ: ১৯.৪ ওভারে ১৪৬ (রিশাদ ৫৩, তাসকিন ৩১, মেহেদী ১৯, সৌম্য ১১, লিটন ৭; তুষারা ৫/২০, হাসারাঙ্গা ২/৩২, শানাকা ১/১১, ধনঞ্জয়া ১/২)।

ফল: শ্রীলঙ্কা ২৮ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা: নুয়ান তুষারা (শ্রীলঙ্কা)।