
রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের কথা ভাবছে জাপান: নাওকি
- আন্তর্জাতিক
- ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
বাংলাদেশ যখন মিয়ানমার থেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর চাপ কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তখনই জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানালেন, কিছু রোহিঙ্গাকে জাপানে পুনর্বাসনের কথা ভাবছে টোকিও।
নাওকি বলেন, জাপান বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের অনুরোধ পেয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআরও) রোহিঙ্গাদের জাপানে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করার পরামর্শ দিচ্ছে। ইতো আরো বলেন, ‘আনুমানিক ৩০০ রোহিঙ্গা ইতোমধ্যেই টোকিও থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে একটি শহরে বাস করছে। সুতরাং সেখানে (জাপানে) রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একটি বেস রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।’
আমরা জানি প্রত্যাবাসনই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান এবং মিয়ানমারই একমাত্র দেশ যেটি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে এ সমাধান দিতে পারে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এর আগে বলেছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জাপানকে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার বোঝা ভাগাভাগি করার আহ্বান জানিয়েছেন। ঢাকার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে প্রতীকীভাবে ২৪ রোহিঙ্গা নিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অগ্রগতিকে ‘সিন্ধুর এক বিন্দু’ বলে অভিহিত করেছেন। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ঢাকাকে জানিয়েছে- তারা প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা নিয়ে যাবে এবং তাদের মধ্যে ৬২ জনকে প্রথম ব্যাচের জন্য সংক্ষিপ্তভাবে তালিকাভুক্ত করেছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা জানি প্রত্যাবাসনই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান এবং মিয়ানমারই একমাত্র দেশ যেটি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে এ সমাধান দিতে পারে।’ নাওকি আরও বলেন, ‘আমাদের এখনও প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব, জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর প্রতি আমাদের তহবিল অব্যাহত রাখব।’ টোকিও এ বছর রোহিঙ্গাদের জন্য ২৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে, যা গত বছর ছিল ৫ মিলিয়ন। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থায় জাপানের অবদান বাড়ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
নাওকি বলেন, টোকিও গভীরভাবে আশা করছে মিয়ানমার-বাংলাদেশের আলোচনা প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।