
সোশ্যাল মিডিয়া, ডিভাইস টেকনোলজি এবং মানসিক স্বাস্থ্য
- নিবন্ধ
- অক্টোবর ২১, ২০২৪
এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। এখন টেকনোলজির যুগ, বিশেষ করে হ্যান্ড হ্যাল্ড টেকনোলজি। মোবাইল ফোন থেকে স্মার্ট ওয়াচ, নোট প্যাড থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলটি, থ্রিডি থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। জীবনের সর্বত্র টেকনোলজির স্পর্শ। নিত্য কাজে হাজার টেকনোলজির ব্যবহার এখন জীবনেরই অংশ। ডিভাইস টেকনোলজি এখন জীবনকে দু’ভাগ করে দিয়েছে! অনলাইন ও অফলাইন। আগে যা বলা হতো— একটি রিয়েলটি, আরেকটি ভার্চুয়ালটি। একটি বাস্তবতা, আরেকটি মনোকল্পনা। অনলাইন মানে অফলাইনের বিপরীত। অনলাইন মানে ভার্চুয়াল, অফলাইন মানে রিয়েল। দৈনন্দিন জীবনে শব্দগুলো যেন ঠিক এমন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এই অনলাইনের অন্যতম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে ফেসবুক সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম। তারপরই আছে টিকটক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম।
১৫৭০ সালে কুইন্স অব নেপলসের জন্য প্রথম হাতঘড়ি বানানো হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য বাজারে আসতে তা ২০০ বছর লেগেছিল। ১৮১২ সালে সাধারণ মানুষ প্রথম হাতঘড়ি পরা শুরু করে। এখন আরো ২০০ বছর পর স্মার্ট ওয়াচ পরে। তবে এখন সেই স্মার্ট ওয়াচে সময় দেখার চেয়ে অন্য কিছু দেখে। মানুষ এখন হাতঘড়ির দিকে গড়ে তিনবার তাকায় দিনে, কিন্তু ফোনের দিকে গড়ে ৫২ বার তাকায়। এই হিসাবে বছরে ২০ হাজার বার ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রিন চেক করে। দৈনন্দিন জীবনে আর কোনো বস্তু এমন করে মানুষকে এতটা আগ্রহী করে তোলেনি। সারাদিনে খাওয়া-দাওয়া করতে এখন যত সময় যায়, তার চেয়ে লোকে এখন বেশি সময় দেয় মোবাইল ফোনে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক আমরা আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ফোনের পেছনে ব্যয় করি। তিনবেলা খেতে নিশ্চয়ই এত সময় ব্যয় করি না আমরা। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে একজন মানুষ সারাদিনে খাবার খেতে এক ঘণ্টার চেয়ে কিছু বেশি সময় ব্যয় করে।
ডিভাইস একদিকে আমাদের জীবনকে যেমন সহজ করে তোলে, একই সঙ্গে ডিভাইস ডিপেন্ডেন্সি আমাদেরকে রিয়েলটি থেকে দূরে নিয়ে মানসিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়। টেকনোলজির এমন নির্ভরশীলতার কারণে লোকে এখন বার বার একটি মুডের মুখোমুখি হয় মাঝে মাঝে। সেটি হলো- নিজের কাছে মনে হয় যা কিছু করছে, তা নিরানন্দ, যা করছে তা নিরর্থক। সময়গুলো মনে হয় বোরিং। কোনো কিছুতে মনে যেন উৎসাহ পাওয়া যায় না। কোনো কিছুতে যেন মনের তাগাদা থাকে না। কাজ করছেন, আনন্দ পাচ্ছেন না। প্রিয় মানুষটির সঙ্গে দেখা করা, কথা বলা, এমনকি মাঝে মাঝে খোঁজ নিতেও ইচ্ছে করে না। কারণ একটাই! কাজগুলোতে আগে যে আনন্দ পেতেন, এখন আর তা পান না। কাজগুলো টানে না। সামাজিক মিডিয়া কিংবা ফেসবুক আগের মতো টানে না। টানলেও ভালো লাগে না।
কিন্তু কেন ভালো লাগে না? আবার ভালো যে লাগে না সেটাও বেশির ভাগ বোঝে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমন হওয়াকে বলে Anhedonia। Anhedonia -এর আভিধানিক অর্থ- যা আনন্দদায়ক তাতে আনন্দ অনুভব করতে অক্ষমতা। মূল উৎপত্তি গ্রিক শব্দ anhedonia থেকেই নেওয়া। একটু ভাঙলে an মানে without, এবং hedonia মানে pleasure। এক করলে without pleasure। গ্রিক দর্শনেও এর কথা আছে। গ্রিক দার্শনিক Epicurus -এর ataraxia এবং aponia দর্শন তত্ত্বের বিপরীত তত্ত্ব হিসেবে anhedonia -এর কথা বলা হতো। Ataraxia মানে হলো প্রশান্তি এবং ভয় থেকে মুক্তি, Aponia মানে হলো শারীরিক ব্যথার অনুপস্থিতি।
দর্শনের হাত দিয়ে আনন্দ তত্ত্বের বিপরীত মত দিয়ে শুরু হলেও ১৮০৯ সালে সাইকোলজিতে John Haslam এটি প্রথম ব্যবহার করেন schizophrenia রোগীর কিছু লক্ষণের বর্ণনা করতে গিয়ে। বিশ শতকের শুরুর দিকে Théodule-Armand Ribot বিষন্নতার কিছু লক্ষণ-উপসর্গের অংশ হিসেবে Anhedonia -এর কথা বলা শুরু করেন। বিশ শতক পর্যন্ত Anhedonia -কে ভাবা হতো শুধু আনন্দ উপভোগের অক্ষমতা বোঝাতে। কিন্তু একুশ শতকে এসে Psychiatry গাইড বুকের সংজ্ঞা অনুযায়ী কোনো কিছুতে উৎসাহ কমে যাওয়া, প্রেরণা আর না পাওয়া, কিছু শিখতে হঠাৎ উৎসাহ হারিয়ে ফেলা, যা আগে পছন্দ করত এমন কিছুতে হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই উপভোগের আনন্দ কমে যাওয়া ইত্যাদি বোঝাতে anhedonia বোঝানো হয়।
মস্তিষ্কের কিছু অংশে স্নায়বিক গোলযোগের কারণে এমনটি ঘটে। এই অংশটিকে সহজ করে বলে Reward circuit। মস্তিষ্কের অনেকগুলো অংশ এই পুরস্কার বর্তনীর মধ্যে পড়ে। যেমন : হাইপোথ্যালামাস, এমিগডালা, প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স। এই অংশগুলোতে ডোপামিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার পদার্থ বের হয়। এই ডোপামিনের কাজ আনন্দ পাওয়ার অনুভূতি দেয়া, একই সঙ্গে ভয় বা উদ্বিগ্নতা বাড়িয়ে দেয়া। রিওয়ার্ড সার্কিটের বিভিন্ন অংশে এই ডোপামিন নিঃসরণের বাড়তি-কমতির একটি গোলযোগ দেখা দেয়। ফলে আক্রান্তের মস্তিষ্কে আনন্দ পাওয়া কাজ থেকে সামাজিক মেলামেশা কমিয়ে দেয়া, পড়াশোনার অমনোযোগিতা, বিষণœতাÑ এমন সব বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।
দুই ধরনের anhedonia হয়। একটা সামাজিক, আরেকটি শারীরিক। সামাজিক anhedonia -তে প্রথমে সামাজিক উপস্থিতিতে আনন্দ পাওয়া কমে যায়। বিকল্প হিসেবে শুরুতে সামাজিক মাধ্যমে ভার্চুয়াল উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে সামাজিক মাধ্যমেও ভার্চুয়াল যোগাযোগ কমিয়ে দিতে থাকে। কারণ যেকোনো ধরনের সামাজিক পরিস্থিতি, সেটা অনলাইন হোক আর অফলাইন হোক, তার কাছে বিরক্তিকর ঠেকে। একই সঙ্গে বাস্তবের সামাজিক ময়দানেও সে অনুপস্থিত থাকে। দুটো ক্ষেত্রেই হতাশাজনক মানসিকতা চেপে বসে। Anhedonia -এর শিকার হলে তারা খুব তাড়াতাড়ি বন্ধু বদলায়, সহজে একটি রিলেশনশিপে বিরক্ত হয়ে যায়, দ্রুত রিলেশনশিপ বদলায় এবং কোনো রিলেশনশিপ বেশিদিন থাকে না। মস্তিষ্কের আবেগে ক্ষতের কারণে ডোপামিনের নিয়ন্ত্রণ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। Social anhedonia -এ আক্রান্ত হলে প্রতিনিয়ত নিজের এবং অন্যদের ব্যাপারে নেগেটিভ ধারণা বেড়ে যায়। আবেগশূন্য হয়ে পড়ে সহজে। এমনকি সামাজিক বিভিন্ন রোমহর্ষক কিংবা হৃদয়বিদারক ঘটনা শুনে-দেখেও কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না তাদের। কোনো ধরনের নিষ্ঠুরতা প্রকাশ না করলেও নিষ্ঠুরতার প্রতি এক ধরনের নিস্পৃহতা প্রকাশ করে। একসময় চিকিৎসকরা ড্রাগ এডিকশন বা মাদকাসক্তির চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। একুশ শতকে এসে মাদকাসক্তির চেয়ে টেকনো আসক্তি বা প্রযুক্তির আসক্তি চিকিৎসকদের ভাবিয়ে তুলেছে।
প্রযুক্তি আসক্তির মধ্যে প্রধানত মোবাইল ফোন প্রধান। তারপর আছে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেম, মোবাইল গেম, গেম কনসোলের গেম। পূর্বের দেশগুলোতে প্রভাবটি কম থাকলেও গ্যাম্বলিং অথবা অনলাইন গ্যাম্বলিং বা অনলাইন ক্যাসিনো, জুয়া— এসবও এখন পশ্চিমে টেকনো আসক্তির মধ্যে পড়ে। কেউ কেউ গোটা ব্যাপারটিকে ডিজিটাল আসক্তি বা ইন্টারনেট এডিকশন বলতে চায়। তবে এ নিয়ে মতানৈক্য আছে। সমস্যাটি কি ডিভাইসের বা যন্ত্রের, নাকি প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর, নাকি শরীরের ওপর প্রযুক্তির প্রভাব। যন্ত্র একধারে জীবনকে সহজ ও উন্নত যেমন করেছে, একই সঙ্গে অন্যধারে যন্ত্র আমাদের এডিক্ট বা আসক্ত করেছে।
শরীরে বিশেষ করে, মস্তিষ্কে ড্রাগ বা মাদক ঠিক যেমন করে আসক্তি গড়ে তোলে, বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা দেখলেনÑ ঠিক একইভাবে প্রযুক্তি বা যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কে সমান প্রতিক্রিয়া এবং একই ধরনের আসক্তি তৈরি করছে। সঙ্গে দেখা দিচ্ছে— শারীরিক ও বিভিন্ন মানসিক সমস্যা। ফলে যন্ত্রের সুফল পেতে গিয়ে যন্ত্রের দানব রূপটিও আস্তে আস্তে পরিষ্কার হয়ে আসছে। কিন্তু এর সমাধান কোথায়। এ নিয়ে ভাবনার আগে আরেকটি বিষয় জেনে নিই— এই যন্ত্র আসক্তির ধরন কেমন, কী সমস্যা তৈরি করছে, কেমন করে করছে। সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সমাধানের অর্ধেক।
অভ্যাস এক জিনিস, বদ অভ্যাস আরেক জিনিস। স্বভাব এক ব্যাপার, আসক্তি আরেক ব্যাপার। স্বভাব হলো একটি কাজ বার বার করার কারণে যে অভ্যাস তৈরি হয়। এডিকশন বা আসক্তি হলো সেই কাজ প্রয়োজনের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত করা। কিন্তু কী করে বুঝবেন— কোনটি স্বভাব, কোনটি আসক্তি! স্বভাবের অভ্যাস দৈনন্দিন কাজের অংশ হিসেবে গড়ে ওঠে, ফ্লেকশিবেল, চাইলে সময়ে পরিবর্তন করে নিতে পারেন। কিন্তু আসক্তি তার বিপরীত। আসক্তির কাজ কোনো প্রয়োজন ছাড়াই বার বার করতে থাকেন, যা করতে থাকেন, তা নিজের অন্য কাজের ক্ষতি করলেও একই কাজে লেগে থাকেন এবং সময়ে নিজেকে সেই বদ অভ্যাসটি থেকে সহজে বের করে আনতে পারেন না। বুঝতে হবে ব্যাপারটি আর আপনার স্বভাব নেই, আপনি ওটায় আসক্ত।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ৬০ ভাগ কোনো না কোনোভাবে মোবাইল ফোনে আসক্ত কোনো একটা সময়ে। এই আসক্তদের অর্ধেকের চেয়ে বেশি হলোÑ টিনএজ এবং তরুণ-তরুণীরা। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের টেকনো যন্ত্রপাতিতে এখন বিশ্বের ৮-১০ পার্সেন্ট প্রাপ্তবয়স্ক আসক্ত। আসক্তির ফল জীবনকে একদিকে যেমন বিষাক্ত করে ফেলে, সঙ্গে সমাজ, পরিবেশ এবং অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে। যন্ত্র, বিশেষত মোবাইল ফোন আসক্তির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের লোকেরা সবচেয়ে বেশি ভুগছে নির্ঘুমতায়। লোকের চোখ এখন অন্ধকারেও ফোনের স্ক্রিনে বিড়ালের মতো তাকিয়ে পিট পিট করে।
একুশ শতকে মানুষের ঘুমের কোয়ালিটি কমে গেছে। ঘুমের সময় নিজেরাই কমিয়ে ফেলেছে। আবার যেটুকু বিছানায় পিঠ দেয়, তখনো ফোনের স্ক্রিনে প্রহরীর মতো চোখ রাখে। বিশ্রাম বাড়লেও ঘুম বাড়েনি। ঘুম বাড়লেও ঘুমের গভীরতা বাড়েনি। ফলে দেখা দিচ্ছে শরীরে প্রতিক্রিয়া। চোখের সমস্যা থেকে মস্তিষ্কে সমস্যা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে খাদ্যাভ্যাসে সমস্যা। মোটা হয়ে যাওয়া থেকে, সহজে এবং স্থূল বিষয়ে বিষন্নতায় ভোগা, বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় জড়িয়ে যাওয়া থেকে আত্মহত্যা, ক্রনিক হতাশা থেকে অস্থিরতা।
একের পর এক টালি করা যাবে, কী করে যন্ত্র এখন মানুষকে সুস্থির করার পরিবর্তে অস্থির করে ফেলেছে। প্রয়োজনীয় কাজের অভ্যাসের বা স্বভাবের পরিবর্তে অপ্রয়োজনীয় বদভ্যাসের দাস বানিয়ে আসক্ত করে ফেলছে তাকে ধীরে ধীরে। আসক্তি সময়ের কোয়ালিটি কমিয়ে দেয়, মনের গভীরতা কমিয়ে মনটাকে অস্থির করে রাখে, এককথায় জীবনের কোয়ালিটি হ্রাস পায়। এডিকশন এখন ফোনের হাত ধরে অনলাইন এডিকশন, সোশ্যাল মিডিয়া এডিকশন, অনলাইন ভিডিও গেম এডিকশন, অনলাইন পর্নোগ্রাফিক এডিকশন, অনলাইন সেক্স এডিকশন, অনলাইন শপিং এডিকশন, একের পর এক তার হাত-পা ছড়িয়ে কিশোর-কিশোরী থেকে তরুণ-তরুণী, এমনকি মধ্যবয়সী থেকে পঞ্চাশ-ষাটোর্ধ্বরাও এখন টেকনো আসক্তিতে আক্রান্ত।
মুখের সামনে যন্ত্র নিয়ে বসে থাকতে থাকতে মানুষ এখন অনেক অসামাজিক, শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে অলস সময় কাটানো প্রাণী। ফলাফল— মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অল্প বয়সে বাসা বানাচ্ছে ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, অকালে মরতে বসে কেউ কেউ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে তোলে ধীরে ধীরে। মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক— তিন ক্ষেত্রেই এডিকশন ক্ষতি করে লোকের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী রোগমুক্ত শরীর মানে সুস্থতা নয়। শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক— তিনটি দিকেই ভালো থাকাকে সুস্থতা বলে। সময় এসেছে উঠে দাঁড়ানোর। যন্ত্র ও মানুষের যুদ্ধে জয় হওয়ার। মানুষ যন্ত্রের আবিষ্কার ও তৈরি করেছে এবং করছে তার জীবনকে সহজ করতে, স্বাস্থ্যকর করতে ও নিজেকে ভালো রাখতে। কিন্তু তার বিপরীতে ছুটলে বলতে হবে নিজেদের তৈরি যন্ত্র এখন নিজেদেরই দখল করে বসেছে। সমাজের বিকল্প সামাজিক মাধ্যম নয়, মানুষের বিকল্প যন্ত্র নয়। মানুষ প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতির কাছে ফিরে যান, যা হারিয়েছেন, প্রকৃতি তা আপনাকে ফিরিয়ে দেবে।
চিকিৎসক, কথাসাহিত্যিক ও বিজ্ঞান লেখক