২২ কোম্পানি জেড ক্যাটেগরিতে যাচ্ছে আজ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২২ কোম্পানির শেয়ার আজ রোববার ‘জেড’ক্যাটেগরিতে যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও এ বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের দেওয়া একটি তালিকা অনুমোদন করেছে। তবে এগুলোর সেটেলমেন্ট হবে চার দিনে (টি+৩)। স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২২টি কোম্পানিকে নির্ধারিত সময়ে এজিএম করতে না পারার ব্যর্থতায় বা টানা ছয় মাসের ব্যবসা বা উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অথবা পুঞ্জীভূত লোকসান তার পরিশোধিত মূলধনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে অবিলম্বে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে স্থানান্তরে বিএসইসি অনুমোদন দিয়েছে। গত বছর লভ্যাংশ দেয়নি এ রকম কোম্পানি রয়েছে অর্ধশতাধিক। এসব কোম্পানি এ বছরের জন্যও লভ্যাংশ না দিলে ঘোষণার পরের দিনই ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে যাবে।

যেসব কোম্পানি আজ জেড ক্যাটেগরিতে নামছে, সেগুলো হলো– অলটেক্স, আরামিট সিমেন্ট, আজিজ পাইপস, ডেল্টা স্পিনার্স, এফএএস ফাইন্যান্স, জিবিবি পাওয়ার, ইনটেক অনলাইন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, কেয়া কসমেটিক্স, খুলনা প্রিন্টিং, ন্যাশনাল টি, প্রিমিয়ার লিজিং, রিজেন্ট টেক্সটাইল, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, রিং শাইন, সাফকো স্পিনিং, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ঢাকা ডাইং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, উত্তরা ফাইন্যান্স, ইয়াকিন পলিমার এবং জাহিনটেক্স।

তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কোনগুলো জেড (জাঙ্ক) ক্যাটেগরিভুক্ত হবে, সে বিষয়ে বিএসইসি গত তিন বছরে চার দফা আইন বদলেছে। গত বৃহস্পতিবারও দুই দফায় আদেশ পরিবর্তন করে। এ নিয়ে সমালোচনা রয়েছে শেয়ারবাজারে।

দফায় দফায় একই বিষয়ে বারবার আইন বদলের কারণ জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, একদিনে বিপুলসংখ্যক শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে গেলে বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো হবে না বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। তা ছাড়া তাড়াহুড়া করে আইন করতে গিয়েও কখনও কখনও ভুল হয়ে যায়। যখনই ভুল ধরা পড়ে, তখনই সংশোধন করা হয়।

শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ বলেন, কমিশন সব সময় শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে আইন করে। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, দুর্বল ও মন্দ কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করছে।